ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনির নামে বুয়েটের বর্তমান ছাত্রী হলটির নাম দেয়া হয়েছে।
১৯৮৭ সালে চারতলা এই হল প্রতিষ্ঠিত হলেও এতোদিন হলটির কোন নাম ছিল না। ছাত্রী হল নামেই এটি পরিচিত ছিল।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভায় এই ছাত্রী হলের নাম অনুমোদন দেয়া হয়। বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জন্য ১২ তলার নতুন আরেকটি হল নির্মাণ করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় এ হলটির নামও অনুমোদন দিয়েছে। নবনির্মিত এ হলের নাম ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’। তবে এ নামকরণের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট চূড়ান্ত অনুমোদন দিবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ভবনের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে বুয়েটের এ হলটিও অন্তর্ভুক্ত।
বুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনির নামে বুয়েটের বর্তমান ছাত্রী হলের নাম অনুমোদন দেয়া হয়। ফাইল ছবি
ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আগে থেকেই একটি ছাত্রী হল ছিল। তবে এ হলটির কোন নাম ছিল না। আর সম্প্রতি নতুন আরেকটি হল হয়েছে। কিছুদিন পর এ হলটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তাই নতুন হলটির একটি নাম প্রয়োজন। সে হিসেবে সিন্ডিকেট দুইটি হলেরই নাম অনুমোদন করেছে।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী আগের ছাত্রী হলটির নাম বুয়েটের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনির নামেই রাখা হয়েছে। আর নতুন ছাত্রী হলের নাম অনুমোদন দেয়া হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে। তবে এটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট চূড়ান্ত অনুমোদন দিবেন।’
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও কেন হলটির কোন নাম ছিলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন আমি বুয়েটের ছাত্রও ছিলাম না। তাই আগের ইতিহাসটা আমার জানা নেই।
নেমপ্লেট লাগানো হয়েছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকালই সিদ্ধান্তটা হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে নেমপ্লেট লাগিয়ে ফেলতে পারব।
উল্লেখ্য সাবিকুন নাহার সনি বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে সাবিকুন নাহার সনি নিহত হন।