বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুনাফায় স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, লভ্যাংশ শেয়ারে ১০ পয়সা

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৩৫

কোম্পানিটির শেয়ারদর বিবেচনায় নিলে এই আয় নগণ্য হলেও আগের বছরের আর্থিক হিসাব বিবেচনায় নিলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারেন। কারণ, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।

আগের বছরের বড় লোকসান কাটিয়ে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস মুনাফায় ফিরে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১০ পয়সা করে।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বুধবার এই লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

সিরামিক খাতের তুমুল আলোচিত এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২৪ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ারদর বিবেচনায় নিলে এই আয় নগণ্য হলেও আগের বছরের আর্থিক হিসাব বিবেচনায় নিলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারেন। কারণ, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।

বড় লোকসান দিলেও ওই বছর বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরতে পেরেছে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকের চমকে। গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসান ছিল। পরে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৮৬ পয়সা এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে ৬০ পয়সা আয় করেছে তারা।

স্বল্প মুলধনি এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় কিছুটা বেড়েছে। ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ৫৬ পয়সার সম্পদ ছিল। এবার তা হয়েছে ৯ টাকা ৭২ পয়সা।

কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ২৪ নভেম্বর। অর্থাৎ কেউ লভ্যাংশ নিতে চাইলে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।

৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি।

শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারদর নিয়ে প্রায়ই নানা ঘটনা ঘটে। কোম্পানির আয় ও লভ্যাংশ কখনও ভালো না হলেও বছর দুয়েক আগে এক পর্যায়ে শেয়ার দর ৭৩০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

তবে অস্বাভাবিক এই উত্থানে যারা বেশি দামে শেয়ার কিনেছেন, তারা ব্যাপকভাবে হতাশ হয়েছেন। এর কারণ, পরে শেয়ারদর অনেক কমে যায়। গত বছর যখন পুঁজিবাজারে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয় তখন ফ্লোর প্রাইস ৩০৭ টাকা ৯০ পয়সাতেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার পর এখন দাম দাঁড়িয়েছে ১৯৬ টাকা ৭০ পয়সা।

তবে এই দাম সর্বনিম্ন নয়। গত ২৫ অক্টোবর শেয়ারটি দুই বছরে সর্বনিম্ন দর ১৬২ টাকায় লেনদেন হয়।

এ বিভাগের আরো খবর