বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো দেহ

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২৮

নিহতের বাবার অভিযোগ, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২৬ জানুয়ারি সজীবকে মারধরের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপর সজীব আত্মহত্যা করেছেন বলে অপপ্রচার চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিন দিন পর তার মৃত্যু হয়।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ময়নাতদন্তের জন্য সজীব ভুঁইয়া নামে এক যুবকের দেহ ৯ মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।

উপজেলার মিঠাপুর কবরস্থান থেকে বুধবার দুপুরে মরদেহটি কবর থেকে তুলে পাঠানো হয় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তিন দিন চিকিৎসা নেয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

সজীবের বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার শেখপুর গ্রামে।

তার বাবা কামাল ভুঁইয়ার অভিযোগ, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২৬ জানুয়ারি সজীবকে মারধরের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপর সজীব আত্মহত্যা করেছেন বলে অপপ্রচার চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিন দিন পর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১২ জনের নামে সে সময় মামলা করেন কামাল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয় আদালত।

তিনি আরও জানান, হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কামাল ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে জানান, তার ছেলের কাছ থেকে এলাকার মুরাদ তালুকদার নামে এক ব্যক্তি কিছু টাকা ধার নেন। পাওনা টাকার জন্য সজীব চাপ দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুরাদ।

কামালের অভিযোগ, মুরাদের নির্দেশে সজীবকে তুলে নিয়ে ইস্রাফিল তালুকদার নামে আরেকজন মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।

তিনি আরও জানান, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। দেড় মাস পর আদালতে মামলার আবেদন করলে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি।

নিহতের চাচা মজিবর রহমান জানান, সজীবের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও সুরতহাল রিপোর্টে তা উল্লেখ করা হয়নি। কামাল জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেও তা প্রভাবিত করা হয়েছে।

সজীবের বাবা ও চাচা জানান, এসব কারণে আবারও ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হয় আদালতে।

এ বিভাগের আরো খবর