সরকার যে সময় দেশে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন করছে সেই সময়টাতে গণমাধ্যমে চাকরিচ্যুতি বাঞ্ছনীয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় যেসব গণমাধ্যম মালিক এগুলো পরিচালনা করতে পারছেন না তাদের কাছ থেকে মালিকানা নিয়ে যাদের পরিচালনার সামর্থ্য আছে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানান বিএফইউজে নেতারা।
বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, ‘করোনার মধ্যে সরকার যেখানে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে সেখানে অনেক গণমাধ্যম লাভে থাকার পরও কর্মীদের প্রতি অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।’
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা যখন চাকরি হারাই, তখন শূন্য হাতে যেতে হয়। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। যারা মালিকানা নিয়েছেন কিন্তু আমাদের নানাভাবে নির্যাতন করছেন, আমরা সেই নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ’বাংলাদেশে ক্লিন ফিড বাস্তবায়নের কথা অনেক দিন ধরেই বলা হচ্ছে কিন্তু হয়নি। এখন ক্লিন ফিড বাস্তবায়িত হয়েছে। সব চ্যানেল এই ক্লিন ফিডের কারণে উপকৃত হতে শুরু করেছে। এ সময় টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুতি মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়।’
তিনি বলেন, করোনা চলে গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমে যে সংকট ছিলো তা আর নেই। আশা করবো, করোনার সময় যাদের চাকরি গেছে তারা পুনর্বহাল হবেন।’
’একজন সাংবাদিক এত বছর চাকরি করার পর শূন্য হাতে চলে যাবেন তা হয় না। এটা হওয়া উচিত নয়। যারা সাংবাদিকতা করেন মেধা যোগ্যতায় তারা অনেকের চেয়ে ভালো। অথচ চাকরি শেষে তাদের যে পাওনা তা অনেকের চেয়ে কম।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় ইনহাউজ করা সম্ভব। প্রতিটি হাউজ তা টেলিভিশন হোক, পত্রিকা হোক বা অনলাইন হোক, সেখানে কর্মীদের বীমার ব্যবস্থা করা হলে সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে। এটি সংশ্লিষ্ট হাউজের রেসপনসিবিলিটি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ’গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা চেষ্টা করছি সংসদের আগামী অধিবেশনে এটি নিয়ে যাওয়ার জন্য। সম্প্রচার আইন নিয়ে কাজ্ও অনেকদূর এগিয়েছে।’