চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। ২০২২ সালেও একই পদ্ধতিতে এসব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে বুধবার ভর্তি নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর একটি কলেজের অধ্যক্ষ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এবারও (২০২২ সাল) প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বছরের ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত হলেও এখনও আবেদনপত্র বিক্রি শুরু ও ভর্তির সময় নির্ধারণ করা হয়নি। বৈঠকের রেজুলেশন চূড়ান্ত করার পর মাউশি থেকে ভর্তি আবেদন ফরম বিক্রি এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ করতে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মাউশির একাধিক কর্মকর্তা এবং ঢাকার একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা, অনলাইন পরীক্ষা, লটারিসহ তিনটি উপায়ে ভর্তির বিষয়ে প্রস্তাব করে। এ প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় লটারির মাধ্যমে ভর্তির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়।
তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না। শুধু চলতি বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিন ক্লাসে আসতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও সমমানের ইবতেদায়ি পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।