নাচ শেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের কৌশলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে এই আদেশ দেয়া হয়।
কারাগারে যাওয়া চার আসামি হলেন- চক্রটির অন্যতম হোতা কামরুল হাসান ওরফে ডিজে কামরুল, আসাদুজ্জামান সেলিম, রিপন মোল্লা ও নাঈমুর রহমান ওরফে শামীম।
এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আল-ইমরান আহম্মেদ।
সেলিম ও শামীমের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
শামীমের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
গত ২৯ অক্টোবর বৌদ্ধ মন্দির এলাকা থেকে কামরুল হাসানকে আটক করে র্যাব-৪। তার দেয়া তথ্যেই নিকুঞ্জ এলাকা থেকে সেলিম ও রিপনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে চুয়াডাঙ্গা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
কামরুল ইসলাম ২০০১ সালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন। পরে একটি বেসরকারি কোম্পানির পণ্য ডেলিভারির জন্য ভ্যানচালকের চাকরি পান। কয়েক বছর পর একটি ‘ড্যান্স’ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর হাতিরঝিল এলাকায় নিজেই গড়ে তুলেন এমন একটি ড্যান্স ক্লাব।
উঠতি বয়সী মেয়েদের নাচ শিখিয়ে বিনোদন জগতের রঙিন স্বপ্ন দেখাতেন কামরুল। পরে সেসব তরুণীকে ভারতে পাচার করে দিতেন। আর এই পাচার কাজ করতে গড়ে তুলেন একটি চক্র। চক্রটি এখন পর্যন্ত শতাধিক নারীকে পাচার করেছে বলে দাবি করছে র্যাব।
পাচারের শিকার এক কিশোরীর বাবা বাড্ডা থানায় সম্প্রতি মামলাটি করেছিলেন।