দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৫৬ জনের শরীরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ২৩৮ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮০ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। ইতোমধ্যে চার জেলাতে করোনা সংক্রমণ শূন্যে নেমে এসেছে।
গত বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে। চলতি বছরের এপ্রিলের আগে আবার বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৫ ও নারী ২ জন। এর মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব ২ ও ষাটোর্ধ্ব ৫ জন রয়েছে।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ঢাকায়। এ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগে একজন করে মৃত্যু হয়।
গত এক দিনে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৭৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।