চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় দুটি থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। প্রথম মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চকবাজার থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন চমেক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন শিকদার। তিনি ক্যাম্পাসে নওফেল গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান।
ওসি বলেন, ‘ঘটনার আগের রাতে হোস্টেলে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে নতুন আরেকটি মামলা করেছেন ইমন শিকদার। ওই রাতে ৬২ ব্যাচের দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি।’
মামলার বাদী ইমন শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার আমাদের জুনিয়র আকিবের ওপর কীভাবে হামলা হয়েছে আপনারা জানেন, দেখেছেন। এর আগের দিন রাতেও হোস্টেলে আমাদের মইনুল ইসলাম ও শোয়েবকে মেরে আহত করে।
‘এ সময় তাদের উদ্ধার করতে আসা আরও কয়েকজনকে মারধর করে আসামিরা। তাই হোস্টেলের ঘটনায় নতুন করে মামলা করা হয়েছে।’
এর আগে চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের জেরে শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
শনিবার সকালের সংঘর্ষে আহত হন মাহাদী আকিব, মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আকিব নওফেলের অনুসারী ও বাকি দুজন নাছির উদ্দীনের।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছাদেকুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের নামে ও ৬ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে শনিবার রাতে মামলা করেন নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান।
এর মধ্যে এনামুল হাসান সীমান্ত ও রক্তিম দে নামের এজাহারভুক্ত দুজন আসামিকে রাতেই হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর রোববার মধ্যরাতে নাছির গ্রুপের অনুসারী মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি পাল্টা মামলা করেন। শুক্রবার রাতে হোস্টেলে সংঘর্ষের ঘটনায় করা সেই মামলায় নওফেল গ্রুপের ১৬ জনকে আসামি করা হয়।