কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের রোহিঙ্গা শিবিরে কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাশিমের মরদেহ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছিল পুলিশ। রোহিঙ্গাদের পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তার মরদেহটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। কে বা কারা তাকে হত্যা করে মরদেহ গায়েব করেছে-তার অনুসন্ধানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহত হাশিমের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের ২২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি কথিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন। অবশ্য বাংলাদেশে আরসার কোনো অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করছে প্রশাসন।
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান মঙ্গলবার রাতে মরদেহ পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, সারা রাত ক্যাম্পে তল্লাশি চলেছে। এখনো চলছে। কিন্তু যে স্থানে মরদেহটি থাকার কথা সেখানে এসে তা পাওয়া যায়নি।
‘১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ২২ নম্বর ক্যাম্পে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।’ যোগ করেন এসআই মাহমুদুল।
তিনি জানান, কিছুদিন আগে মাহমুদুল করিম নামে এক রোহিঙ্গাকে হত্যার পর তার মরদেহ গায়েব করা হয়। ক্যাম্পটি অতি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় ৪৩ দিন পর তার মরদেহ মিলেছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আরসার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল হাশিমের। তিনি সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা ও মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ৬ জন হত্যার অন্যতম হুকুমদাতা বলে অভিযোগ রয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি অনেকটাই তারা নিশ্চিত। কিন্তু মরদেহটি কোথায় গায়েব করা হয়েছে তার অনুসন্ধান চলছে।