বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি নির্বাচনে সরকারের লোকজনেরই কামড়াকামড়ি: রিজভী

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৩৫

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘নিশিরাতে ভোট ডাকাত সরকারের লোকজন এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নিজেরাই কামড়াকামড়ি, মারামারি করে মরছে। আর গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের শান্তি বিনষ্ট করছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক-অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।’

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন কামড়াকামড়ি, মারামারিতে মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘নিশিরাতে ভোট ডাকাত সরকারের লোকজন এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নিজেরাই কামড়াকামড়ি, মারামারি করে মরছে। আর গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের শান্তি বিনষ্ট করছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক-অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। চলমান ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত সহিংসতা করছে।’

বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ঢাকায় বসে টাকার বিনিময়ে প্রকাশ্যে মনোনয়ন বাণিজ্য করছে আর প্রার্থীরা গ্রাম-গঞ্জে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হচ্ছে। এর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে-লুটপাটের লোভ।

‘কোনোমতে দলীয় টিকিট পেলেই সিলেকশনে চেয়ারম্যান হয়ে যাবে…সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। মেরে কেটে যেভাবে হোক চেয়ারম্যান-মেম্বার হওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা।’

কোনো কোনো জায়গায় প্রার্থীরা নৌকায় ভোট না দিলে ভোটারদের এলাকা ছাড়া করার হুংকারও দিচ্ছেন বলে জানালেন রিজভী। তিনি বলেন, “আজ খবরের কাগজে দেখলাম, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম হুমকি দিয়েছেন, ‘যারা নৌকার বিরোধিতা করছে এবং নৌকায় ভোট দেবে না তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা মারা গেলে কবরস্থানে কবর দিতে দেয়া হবে না। এমনকি তাদের মসজিদেও নামাজ পড়তে দেয়া হবে না’।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের খান পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় বেজায় মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন বলে জানান রিজভী।

তার মতে, নির্বাচনে সহিংসতার দায় স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপাচ্ছে মেরুদণ্ডহীন পাপেট নির্বাচন কমিশন। অথচ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসে। সেক্ষেত্রে এতসব সহিংসতা, অনিয়মের দায় নির্বাচন কমিশনের। ভোট ডাকাতিকে সহায়তা দিতে গিয়ে নির্বাচনি হিংসা, সন্ত্রাসবাদকে লালন-পালন করেছে কমিশন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনই নিজেদের স্বার্থসর্বস্বতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না। এরা অবৈধ ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতেও দ্বিধা করে না। গণতন্ত্র হরণ আওয়ামী লীগের ডিএনএতে মিশে আছে। এদের কর্তৃত্ববাদী হিংস্র শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলেও সিইসির নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেশের ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করেই চলেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর