স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
হেফাজতে নেয়া ব্যক্তিরা হলেন অহিদ খান, সেলিম ও নবী। তাদের মধ্যে অহিদ খান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, বাকি দুইজন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী।
নিউজবাংলাকে তিনজনের হেফাজতে নেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, ‘তাদের শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে, কাউকেই আটক করা হয়নি।’
নথি গায়েবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। যাদের মধ্যে আটজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও একজন ঠিকাদার।
প্রথম দিন হেফাজতে নেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের জোসেফ সরদার, আয়েশা সিদ্দিকা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সালকে।
সোমবার রাতে রাজশাহী থেকে আটক করে ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনকে। এদের কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখায়নি সিআইডি।
এদিকে নথি চুরির কারণ জানার পাশাপাশি চুরি হওয়া নথিগুলো উদ্ধারের দিকে নজর দিচ্ছে সিআইডি। এ জন্য সন্দেহভাজনদের ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে তদন্তকাজ চালাচ্ছে সংস্থাটি।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তে ভালো ফাইন্ডিংস আছে। আমরা ফাইলগুলো উদ্ধার করার জন অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি সেগুলো দ্রুত উদ্ধার হবে।’
জড়িতদের শনাক্ত করা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্তকাজ শেষ হোক, তারপর সব জানানো হবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ২৯ নম্বর কক্ষ থেকে ১৭টি নথি হারানোর কথা জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর রোববার সকালে সচিবালয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিআইডির পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন শাহবাগ থানা পুলিশেরও একটি দল।
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অফিস করে নথিগুলো ফাইল ক্যাবিনেটে রাখেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কাজ করতে গিয়ে দেখেন ফাইলগুলো ক্যাবিনেটে নেই।