কুষ্টিয়ার হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে ছেলেটি মারা গেছে। তার বোনদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাচ্চাটির মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শিশু বিশেষজ্ঞ নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাচ্চাগুলো কম ওজনের। এ কারণে তাদের সার্ভাইভ করা কঠিন। তাদের রাখার জন্য হাসপাতলে সে রকমের আইসিইউ সাপোর্ট নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়ার দরকার।’
‘বাচ্চাটির বাবা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তারা এখানে রেখেই চিকিৎসা দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু এত কম ওজনের বাচ্চাকে আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে।’
জীবিত শিশুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শিশুগুলো এখনো স্ক্যানো ওয়ার্ডে আলোর তাপে রাখা হয়েছে। তাদের অক্সিজেন দেয়া আছে ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জন্মে নেয় পাঁচ শিশু।
চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রপচার ছাড়া গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম হওয়ায় শিশুদের ওজন কম হয়েছে। মা সুস্থ আছেন।
ডাক্তার নাজিম এই বাচ্চাগুলোকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একই আহ্বান জানিয়েছেন শিশুটির বাবা সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘আমার সামান্য চায়ের দোকান আছে, শ্রমিকের কাজ করি। আল্লাহ একসঙ্গে পাঁচটি বাচ্চা দিয়েছে তাদের বাঁচিয়ে রাখতে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার মত টাকা আমার নেই।’
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, ‘ওই পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।’