বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দখলমুক্ত সরকারি জায়গা এখন শিশুপার্ক

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ১০:৫৯

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন জায়গাটি ভূমিদস্যুদের দখলে ছিল। পরে অভিযান চালিয়ে জায়গাটি উদ্ধার করে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ একরজুড়ে শিশুপার্কটি নির্মাণ করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুর রহমান।

চারপাশে সমুদ্র, মাঝখানে পাহাড় আর সমতল ভূমি নিয়ে পাহাড়ি দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী। শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য মহেশখালীতে নির্মিত হয়েছে জেলার প্রথম শিশুপার্ক। নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে।

কক্সবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ছোট মহেশখালীর লম্বাঘোনা এলাকায় ‘শেখ রাসেল শিশুপার্ক’।

পাহাড়ি সড়ক বেয়ে শিশুপার্কে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে দাঁড়িয়ে হুংকার দেয়া বাঘের। এ ছাড়া পার্কে রয়েছে জেব্রা, জিরাফ, হরিণ, হাতি, ঘোড়া এবং ঈগলের ম্যুরাল। সাপের মতো লম্বা করে সুচালো বাঁকা ঠোঁট নিয়ে তাকিয়ে আছে ড্রাগন।

ঘুরে দেখা যায়, শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষরা আসছেন পার্কটিতে। দোলনায় দোল খাচ্ছে শিশুরা।

মনে হয়, পার্কের ঈগল পাখিটি অনেক উঁচু থেকে খাবারের খুঁজে আসছে। শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও বসে সময় কাটাতে পারবেন নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশে। পার্কটি বনাঞ্চল ঘেরা হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠবে পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্য।

লাল টুকটুকে জামা পরে পার্কে আসছেন ইয়াছিন ও সুমাইয়া। হরিণের পিঠে উঠে হাসি, উল্লাস দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত তারা। ছবি তুলতে চাইলে লজ্জারাঙা খুনসুটিতে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিল।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন জায়গাটি ভূমিদস্যুদের দখলে ছিল। পরে অভিযান চালিয়ে জায়গাটি উদ্ধার করে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ একরজুড়ে শিশুপার্কটি নির্মাণ করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুর রহমান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিশুরা ঘরবন্দি ছিল। তা ছাড়া শিশুদের জন্য কোনো বিনোদন পার্ক না থাকায় কোথাও ঘুরতে যেতে পারত না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন একটি পার্ক পেয়ে আনন্দিত তারা।

পার্কে ঘুরতে আসা মেহেদী বলেন, ‘অবসর সময়ে পার্কে গেলে ক্লান্তি দূর হয়। মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। বিকেলে বাচ্চাদের নিয়ে খেলাধুলা করা যায়।’

উপজেলার সাবেক ছাত্রনেতা রিয়ান সিকদার বলেন, ‘পার্কে এসে কোমলমতি শিশুরা দেশের পশুপাখির সঙ্গে পরিচিতি লাভের পাশাপাশি বিনোদনের সুযোগ পাবে। তবে স্থানীয়দের জন্য প্রবেশ ফি মওকুফ করলে আরও ভালো হবে।’

এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মহেশখালীতে পার্ক না থাকার বিষয়টি আমাকে ভীষণ ভাবিয়েছে। তাই শিশুদের জন্য এই পার্কটি নির্মাণ করি। এর ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে। দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে।’

প্রতিটি ইউনিয়নে শিশুপার্ক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।

এ বিভাগের আরো খবর