ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্কটল্যান্ডে স্কটিশ এক্সিবিশন সেন্টারের কপ-২৬ ভেন্যুর ইউকে মিটিং রুমে মঙ্গলবার বৈঠকটি হয়।
দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতা।
এর আগে ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস এবং মার্কিন ব্যবসায়ী বিল গেটসের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কপ২৬-এর সাইডলাইনে জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন ইস্যুতে আলোচনা করেছেন তারা।
ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দুই বৈশ্বিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, উদ্যোগ ও চাহিদা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে এইচএসবিসিসহ চারটি প্রধান ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ছিলেন। বৈঠকে বিল গেটস জলবায়ু সমস্যায় বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার কথা বলেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলীয় বায়ু শক্তি এবং উপকূলীয় বেল্ট এবং নদীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ সম্বলিত কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পরিবেশের স্বার্থে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোনিবেশ করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
চার্লসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল বলেছে, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চায় বলে সফরের প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করবে।
মোমেন বলেন, ‘ব্রিটিশ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার দিক থেকে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করছে।’
বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু ইস্যুতে তার সরকারের পদক্ষেপ যেমন, জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচি গ্রহণ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।