বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুক লাইভে খুনিদের তথ্য জানিয়েছিলেন নাজমুল

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ২২:২১

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলায় প্রধান আসামি তোফাজ্জলকে করা হলেও, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে জুয়েল মূল পরিকল্পনাকারী। এলাকার আধিপত্য ও বালু মহাল নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হয়েছেন নাজমুল।’ 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নাজমুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মৌলভীবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মঙ্গলবার সকালে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোদের একজন ৩৭ বছরের জুয়েল মিয়া। তার বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলায়। অন্যজন মাইক্রোবাস চালক ৪০ বছরের আমির হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহাদেব বাচাড়।

তিনি জানান, সোমবার রাতে রাজনগর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে জব্দ হয় হত্যায় ব্যবহৃত একটি রাম দা ও একটি চাইনিজ কুড়াল। আর আমিরকে মৌলভীবাজার সদর থেকে মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

নাজমুল হত্যার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মঙ্গলবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে করে এসে ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে নিজের বাড়ির সামনে এসে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এই সুযোগে নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই ৯ জন।

সিসিটিভি ক্যামেরাটি নাজমুলের অফিসে লাগানো ছিল।

রোববার দুপুর ২টার দিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত নাজমুলের মৃত্যু হয় সিলেটের একটি হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টার দিকে।

মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে নাজমুল জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চার জনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন, স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল।

এ সময় তিনি দাবি করেন, ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে লড়তে চাওয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছে। মৃত্যু হলে খুনিদের যেন সাজা হয় সেই আহ্বানও জানিয়েছিলেন নাজমুল।

নাজমুলের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই শামছুল হক সোমবার তোফাজ্জলকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮/১৯ জনের নামে মামলা করেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলায় প্রধান আসামি তোফাজ্জলকে করা হলেও, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে জুয়েল মূল পরিকল্পনাকারী। এলাকার আধিপত্য ও বালু মহাল নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হয়েছেন নাজমুল।’

রহিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নাজমুলের বিরুদ্ধে থানায় ১৫টি মামলা ছিল জানিয়ে ওসি জানান, ফুটেজ দেখে বাকি আসামিদের শিগিগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর