বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে প্রথম জাকারিয়াকে নিয়ে কোচিং সেন্টারের টানাটানি

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৯

জাকারিয়া ফোকাস কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছেন। আর তা পুঁজি করে ব্যবসা বাড়াতে ওই কোচিং সেন্টার ব্যাপক প্রচারও চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সুনাম-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়া আরেক কোচিং সেন্টারের লোকজন চড়াও হয়ে টানাহেঁচড়া ও চড়থাপ্পড় মেরেছেন এই মেধাবী শিক্ষার্থীকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়াকে নিয়ে কোচিং সেন্টারের টানাটানি শুরু হয়েছে। এক কোচিং সেন্টারের লোকজনের মারধরেরও শিকার হয়েছেন এই শিক্ষার্থী।

জাকারিয়া ফোকাস কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছেন। আর তা পুঁজি করে ব্যবসা বাড়াতে ওই কোচিং সেন্টার ব্যাপক প্রচারও চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সুনাম-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়া আরেক কোচিং সেন্টারের লোকজন চড়াও হয়ে টানাহেঁচড়া ও চড়থাপ্পড় মেরেছেন তাকে।

ফোকাস কোচিং সেন্টারের ফার্মগেট শাখার একটি কক্ষে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এরপর জাকারিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক টাইমলাইনে ঘটনাটি তুলে ধরেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তবে তিনি কোচিং সেন্টারটির নাম বলেননি।

ফোকাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক মওদুদ ইসলামের দাবি, ঘটনার সময় তিনি আইকন প্লাস কোচিং সেন্টারের একজন শিক্ষককে দেখেছেন। তবে আইকন প্লাসের পরিচালকের দাবি, তার কোচিং সেন্টার এতে জড়িত নয়।

জানা যায়, জাকারিয়া ফোকাসের উত্তরা শাখায় কোচিং করেছেন। কোচিং সেন্টারটি থেকে সংবর্ধনার জন্য জাকারিয়াকে তাদের ফার্মগেট শাখায় ডাকা হয়। ফোকাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি কোচিং সেন্টারটির ফেসবুক লাইভে অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন। এ সময় কিছু লোক সেখানে ঢুকে জাকারিয়াকে বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করে। জাকারিয়া বাইরে যেতে না চাইলে কয়েকজন তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর তারা চলে যায়।

জাকারিয়া তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমি ফোকাস কোচিং সেন্টারের ফার্মগেট শাখায় ছিলাম। লাইভের সময় হঠাৎ বাইরে হুড়োহুড়ি। কিছুক্ষণ পর কিছু লোক ভেতরে ঢুকেই বলল- এই তোরা মিটিং করিস নাকি। তারা ফোকাসের ভাইদের বের করে দেয়ার চেষ্টা করল। আমারেও বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু যাইনি। এক পর্যায়ে টানাটানি। তাতেও না নড়ায় একজন মাথায় থাপ্পড় দিল। শেষ পর্যায়ে ফোকাসের ভাইদের বাইরে পাঠিয়ে দিল। দেখলাম তারা এক কোচিংয়ের টিচার। এসেছিল জোর-জবরদস্তি করে বলাতে- জাকারিয়া আমাদের কোচিংয়ের।’

ফোকাস কোচিংয়ের নির্বাহী পরিচালক মওদুদ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দুপুরে জাকারিয়াকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে গিয়েছিলাম। বাইরে একটি কোচিংয়ের শিক্ষকসহ বহিরাগত অনেকের উপস্থিতি দেখে সন্দেহ হলো। কারণ তাদের চেহেরা অন্যরকম ছিলো। এর আগেও আমাদের অনেক শিক্ষার্থীকে তারা জোর করে নিয়ে নিজেদের শিক্ষার্থী বলে প্রচার করেছে। তাই আমরা কোচিংয়ের শাটার নামিয়ে দেই। এরপর তারা আমাদের শাটারে ধাক্কা দেয়া শুরু করে। আমরা শাটার খুলে দিলে তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা চেয়েছিলো জাকারিয়ার সঙ্গে ছবি তুলে তাদের শিক্ষার্থী বলে প্রচার করবে। কিন্তু জাকারিয়া রাজি না হওয়ায় তার ওপরও তারা হাত তোলে।’

কোন কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে দেখেছেন জানতে চাইলে মওদুদ বলেন, ‘যাকে দেখেছি তিনি আইকন প্লাস কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। তারা মূলত স্থানীয় লোকজনকে ভাড়া করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আইকন প্লাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ফার্মগেটের একটি বিল্ডিংয়ের দোতলায় ফোকাসের অফিস। একই বিল্ডিংয়ের ছয় তলায় আমাদের অফিস। আমার কিছু লোকজন দেখেছে তারা শাটার বন্ধ করে ভেতরে কিছু কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরপর তারা শাটার খুলতে বলছে। শাটার খোলার পর তারা দেখে ভেতরে সাত-আটজন বসা।’

কী ধরনের কার্যক্রম দেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র করছে নাকি কোচিংয়ের কার্যক্রম চালিয়েছে সেটি আমার জানা নেই। আওয়াজ শুনে ছয়তলা থেকে আমাদের কিছু লোকজন এসে শুনেছে যে সেখানে কিছু ঝামেলা হয়েছে। আর কিছু জানি না।’

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ করলে তো হবে না; তা প্রমাণ করতে হবে। তবে এরকম কিছু হয়ে থাকলে আমি জানতাম।’

আইকন প্লাসের সমন্বয়ক আজিজ খান বলেন, ‘সেখানে ঝামেলা দেখে আমাদের কয়েকজন দেখতে যায়। কিন্তু আমাদের কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না। জাকারিয়া প্রথমে আমাদের কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু সে তা অস্বীকার করায় আমরা তাকে নিয়ে আর কোনো কিছু করিনি।’

এ বিভাগের আরো খবর