বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি নীলদলের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি নির্বাচনি ইশতেহার

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ২০:৪২

অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নির্বাহী পাঁচটি পদের জন্য দুই জন করে আর সদস্য পদের জন্য ১০টি পোস্টের বিপরীতে ২২ জন পদপ্রার্থী ছিল। মঙ্গলবার ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন দুই জন সদস্য প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছে। এখন সদস্য পদের জন্য ২০ জন আর নির্বাহী পদের জন্য প্রতি পদে দুই জন করে প্রার্থী রয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম বুধবার প্রকাশ করা হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ ঘিরে পাল্টাপাল্টি নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিক্ষকদের নীলদলের দুই পক্ষ। দীর্ঘ ২২ মাস পর আগামী ৮ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের একাংশ এবং অপর অংশ দুপুর ২টায় জবি শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে দুটি আলাদা নির্বাচনি ইশতেহার দেন।

সকাল ১১টার সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেল ঘোষণা করেন।

প্যানেলের সভাপতি সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সহসভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম।

এই প্যানেলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুসাররাত শামীম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. এম. এম. গোলাম আদম, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিবেদিতা রায় এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার।

অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেলের নির্বাচনি অঙ্গীকারে উচ্চশিক্ষা, উচ্চপদে নিয়োগ, গবেষণা বিষয়ক, চাকরি বিষয়ক এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

ইশতেহারে ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে সব শিক্ষকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; মান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহ পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ; প্ৰতি বিভাগে দুই জন শিক্ষককে সম্মানীসহ ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ করা; শিক্ষক লাউঞ্জের আধুনিকায়ন ও শিক্ষক ক্যান্টিন আবার চালু করা; শিক্ষকদের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত ক্লাব প্রতিষ্ঠা করাসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার করা হয়েছে।

এছাড়া অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেল নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ নেয়া থেকে বিরত থাকবেন বলেও অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বর্তমান শিক্ষক সমিতির প্যানেল ও নীলদলের অপর অংশ দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের নির্বাচনি ইশতেহার দেন। এসময় অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম-আলম ও অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের প্যানেল ঘোষণা করা হয়।

এই প্যানেলের সভাপতি হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম-আলম ও সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। প্যানেলের নির্বাহী পদে সহসভাপতি হিসেবে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার, কোষাধ্যক্ষ পদে ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুকুমার বেপারী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জি. এম. আল-আমীন নির্বাচন করবেন।

এছাড়া সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সামাদ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাসফিক, ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আলমগীর হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুমানা তাছমীন, আইন বিভাগের সহকারী মো. মেফতাহুল হাসান এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রভাষক সানজিদা আক্তার তান্নি।

অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম ও অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের প্যানেলের এজেন্ডায় চাকরি স্থায়ী করা, গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অসংগতি দূর করা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে মোট ১৭টি এজেন্ডা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষকদের পিএইচডি ছুটি সবেতনে পাঁচ বছর উন্নীত করা, পিএইচডি, এম. ফিল. দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষকদের জন্য ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার করা হয়েছে।

জবিশিস কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের প্রধান কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক তালিকা আমরা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি। শিক্ষক সমিতির কার্যালয়কে নির্বাচন কমিশনের অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নির্বাহী পাঁচটি পদের জন্য দুই জন করে আর সদস্য পদের জন্য ১০টি পোস্টের বিপরীতে ২২ জন পদপ্রার্থী ছিল। মঙ্গলবার ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন দুই জন সদস্য প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছে। এখন সদস্য পদের জন্য ২০ জন আর নির্বাহী পদের জন্য প্রতি পদে দুই জন করে প্রার্থী রয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম বুধবার প্রকাশ করা হবে।’

অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার কাছে কারও কোনো অভিযোগ আসেনি। সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুযায়ী যেসব শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তারাই ভোট দিতে পারবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর