বিদ্যুৎ, জ্বালানি, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের কাছে নতুন করে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা চেয়েছে সরকার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি টাকায় ৫১ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে এ বিষয়ক প্রস্তাব ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
আগামী তিন বছরের জন্য বাজেট বাস্তবায়নসহ উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয়ের জন্য এই অর্থ চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যে সহায়তা তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক, তা থেকে এই ঋণ চেয়েছে সরকার।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স বা আইডিএ-১৯ প্যাকেজের আওতায় ঋণ-সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২২ সালের জুনে।
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক তার সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জন্য আইডিএ-২০ প্যাকেজ গঠন করেছে। এই তহবিল থেকে আগামী ২০২২-২৫ মেয়াদে নতুন করে ঋণ দেয়া হবে।
বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশ এই প্যাকেজের আওতায় ঋণ-সহায়তা পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
চলমান আইডিএ-১৯ প্যাকেজের আওতায় বিশ্বব্যাংক থেকে এরই মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার ( ৩ বিলিয়ন) ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী বছরের জুনের মধ্যে আরও ১০০ কোটি ডলার প্রত্যাশা করছে সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইআরডির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক তার সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জন্য আইডিএ-২০ প্যাকেজ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ওই তহবিল থেকে পরবর্তী তিন বছর ( ২০২২-২৫ ) মেয়াদে ঋণ-সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন কোন প্রকল্পে সাহায্য দরকার তার একটি তালিকা তৈরি করে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে বিশ্বব্যাংক।’
বহুজাতিক ঋণ দেয়া সংস্থার মধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ঋণ দেয়। এ জন্য বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সবচেয়ে বড় পার্টনার বলা হয়। অবকাঠামো খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজেট সহায়তায় ঋণ দিয়ে থাকে সংস্থাটি।
গরিব দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ প্যাকেজের আওতায় সর্বোচ্চ ঋণ দেয়া হয়। ঋণগ্রহীতা দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশ ২০১৪ সাল থেকে আইডিএর আওতায় ঋণ পেয়ে আসছে। এই ঋণের মেয়াদ হয় তিন বছর যা সহজ ও নমনীয় শর্তে দেয়া হয়। সাধারণত এই ঋণের বিপরীতে সুদের হার ১ শতাংশ এবং ৩০ বছরে তা পরিশোধ করা যায়।