১৫ বছর পূর্ণ করে ১৬-তে পা রেখেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি’ স্লোগান নিয়ে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন সিলেট ভেটেরিনারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের মাধ্যমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার। এরপর বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানো হয়।
সকালে ক্যাম্পাস থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে লেকসাইডে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মাহফুজুর রবের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর মতিয়ার রহমান হাওলাদার, রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) মোস্তফা সামছুজ্জামান ও প্রক্টর তাওহীদ হাসান।
উপাচার্য মতিয়ার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় ছাত্রছাত্রীদের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এই আয়োজন করা হয়।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ বছরের একটি অ্যাকাডেমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষদে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
‘করোনাকালীনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে লাঠিখেলা ও পুতুল নাচ প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।