বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২৫ আসামির মধ্যে ১২ জনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, গ্রন্থ ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না এবং এস এম মাহমুদ সেতুর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তাদের আইনজীবীরা।
পরে আদালত বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করে।
এর আগে এদিন মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা ও মো. মুজাহিদুর রহমানের আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।
এর আগে ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মুনতাসির আল জেমি, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও মো. মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন তাদের আইনজীবীরা।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে আনা হয়। শুনানির পর তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
১৪ মার্চ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেননি। এরপর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যও দেন।
৭ সেপ্টেম্বর মামলায় কিছু ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পুনরায় অভিযোগ গঠনের আবেদন করে। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করে। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে ২২ আসামি আবারও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।