গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টেংরাখোলা-বটতলা খালে পানি প্রবাহ শুরু হওয়ায় আবারও স্থানীয়দের মুখে ফিরেছে হাসি।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মুকসুদপুর পৌর সদরের চৌরঙ্গি থেকে আটাডাংগা বাওড় বটতলা পর্যন্ত খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোবায়ের রহমান রাশেদের নেতৃত্বে প্রশাসনের এ অভিযান চলে।
খালপাড়ের বাসিন্দা জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেকেই বালু, মাটি ভরাট কইরা জায়গা দখল নিয়া দোকানঘর, বাড়ি বানায়ে ফেলছিল। খালডা উন্মুক্ত হওয়ায় একদিকে যেমন সরকারি জায়গা উদ্ধার হইছে, তেমনি পানি চলাচল শুরু হওয়ায় আমাদের এই এলাকার অনেক মানুষের উপকার হলো।
‘এতদিন বর্ষার সময় অনেকের বাড়িতে পানি ঢুকে যেত। এখন আর পানি ঢুকবে না। সবাই অনেক খুশি।’
স্থানীয় শাহিন মিয়া বলেন, ‘প্রশাসন খালটা সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করে স্থানীয় জনগণের অনেক উপকার করেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতার হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে। তবে এই খাল আরও বড় করে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দিলে খালপাড়ের মানুষের চলাচলের খুব সুবিধা হতো।’
কুমার নদের টেংরাখোলা থেকে সদরের চৌরঙ্গি হয়ে গোপীনাথপুরের আটাডাঙ্গার বাওড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা এই খালের অনেকখানি জায়গা নানাভাবে দখল হয়ে যায়। গত ৯ অক্টোবর থেকে এটি উদ্ধারের অভিযান শুরু হয়।
ইউএনও জোবায়ের রহমার রাশেদ জানান, মুকসুদপুর উপজেলার সব খালই একে একে দখলমুক্ত করে পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি খালের পাড় বাঁধানো, গাছ লাগানো, ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।