বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লভ্যাংশ দেড় টাকা

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:১২

এই লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা আকৃষ্ট হবেন কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। এর কারণ, চলতি বছর লভ্যাংশ নেয়ার পর বিরূপ অভিজ্ঞতা। চলতি বছর পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ডই আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার পরও বিনিয়োগকারীদের হতাশার কারণ হয়েছে। এর কারণ, যে ফান্ডের লভ্যাংশ যত বেশি এসেছে, তার দাম কমেছে তত বেশি।

এক দশক আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি আয় করে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড এল আর গ্লোবাল ওয়ান।

৩০ সেপ্টেম্বরে অর্থবছর শেষ করা ফান্ডটি এবার ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৫১ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৩৯ পয়সা।

মঙ্গলবার ফান্ডটির ট্রাস্টি সভায় এই লভ্যাংশ অনুমোদিত হয় বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আগের বছর ইউনিটপ্রতি ২৬ পয়সা লোকসান দেয়ার পর কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি ফান্ডটি।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী আয়ের ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে বাধ্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো। তবে আগরে বছর লোকসান থাকলে তা সমন্বয় করা যায়। এই হিসেবে এই ফান্ডটি আগের বছরের লোকসান সমন্বয় করে বাকি টাকার শতভাগের বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফান্ডটির এই আয় ২০১১ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ। প্রথম দুই বছর লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে না পারা ফান্ডটি ২০১৩ সালে ৪ শতাংশ রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিট দিয়েছিল। এরপর ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে।

এর মধ্যে ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ছিল ফান্ডটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ফান্ডটির ইউনিট মূল্যের বিবেচনায় এই লভ্যাংশ বেশ আকর্ষণীয়। ট্রাস্টির সভার দিন প্রতিটি ইউনিট বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা করে। এর মধ্যে দেড় টাকা হিসেবে ১৬.৬৭ শতাংশ আসে মুনাফা।

তবে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা আকৃষ্ট হবেন কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। এর কারণ, চলতি বছর লভ্যাংশ নেয়ার পর বিরূপ অভিজ্ঞতা।

চলতি বছর পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ডই আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার পরও বিনিয়োগকারীদের হতাশার কারণ হয়েছে। এর কারণ, যে ফান্ডের লভ্যাংশ যত বেশি এসেছে, তার দাম কমেছে তত বেশি। শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে, লভ্যাংশ যারা পেয়েছেন, তাদের বেশিরভাগেই লোকসানে আছেন। কারণ, লভ্যাংশ হিসেবে যত টাকা পাওয়া গেছে, ইউনিট মূল্য কমে গেছে তার চেয়ে বেশি।

৩০ সেপ্টেম্বর এল আর গ্লোবালে ইউনিটপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৪ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে এই সম্পদ ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ নভেম্বর। অর্থাৎ, যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন ইউনিট ধরে রাখতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর