সাভারে পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম জুয়েল মিয়া। তার বাড়ি বিরুলিয়া গ্রামে।
বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কুদ্দুস নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে জুয়েলকে আটক করা হয়। পরে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার বাকি ১০ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। কনস্টেবল নুর হোসেনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
সাভার মডেল থানায় মঙ্গলবার সকালে ১১ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর কনস্টেবল সৌরভ কুমার।
বাকি আসামিরা হলেন, রুবেল মিয়া, কামাল মিয়া, মোহাম্মদ আলী, ইলিয়াস মিয়া, করিম মিয়া, সজল মিয়া, তোতা মিয়া, ফয়সাল মিয়া, লোকমান মিয়া ও লাল্টু মিয়া। তারা সবাই বিরুলিয়া গ্রামের।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিল্প পুলিশের দুই সদস্য সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি ডাক বিলি করার জন্য পুলিশের সদরদপ্তর থেকে নিজেদের কর্মস্থল সাভারে ফিরছিলেন। পথে বিরুলিয়ায় বাসের জন্য একটি চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেখানে জুয়েল ও তার সঙ্গীরা হট্টগোল শুরু করে।
নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন কনস্টেবল নুর হোসেন ও সৌরভ কুমার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ দিয়ে তাদের পেটানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।