বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোরশায় ৫টি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:২৬

ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতুম কুমার সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাশাপাশি দুটি গ্রামের ৫টি মন্দিরের ৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে জানি না। তবে ভোররাতের দিকে ভাঙচুর করা হতে পারে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

নওগাঁ পোরশায় পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার ভবানীপুর ও শরিওয়ালা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে কোনো এক সময় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ভবানীপুরের ৩টি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে পাঁচটি প্রতিমা এবং শরিওয়ালা গ্রামে দুটি মন্দিরে ৩টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান।

ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতুম কুমার সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাশাপাশি দুটি গ্রামের ৫টি মন্দিরের ৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে জানি না। তবে ভোররাতের দিকে ভাঙচুর করা হতে পারে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে পোরশা উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুদেব সাহা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার ভোররাতে ভবানীপুর গ্রামে কোনো এক সময় আলাদা দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। মন্দির দুটিতে রাখা শ্রীশ্রী কালী, শিব, লক্ষ্মীসহ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার পর থানায় জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার সহসভাপতি বিমান কুমার সাহা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের দুটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা দুপুরের দিকে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটির সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান বলেন, জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। এসব ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।

পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল হামিদ রেজা জানান, ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুর্গাপূজার মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর রংপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় হামলার শিকার হয় হিন্দুদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এ বিভাগের আরো খবর