রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় পুলিশি নির্যাতনে তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির হত্যার অভিযোগসংক্রান্ত ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে খোঁজ নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্তকে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে আদালতকে এ ঘটনায় দোষীদের বিষয়ে আদেশ দিতে বলেন।
ফাইল ছবি
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত আরও বলেন, 'আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া আদালতে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রে প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার। তারপরও এটি কেন ঘটছে, এর জন্য কারা দায়ী। সামগ্রিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা সংবিধান আদালতকে দিয়েছে। এ জন্য আদালতের আদেশ প্রার্থনা করি। পরে আদালত আমাকে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দেন।’
১ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে ৫৫ বছর বয়সী তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারাগাছের নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাজুল ইসলাম হারাগাছ নয়াটারী দালালহাট গ্রামের বাসিন্দা।
তাজুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়া বাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল ইসলাম। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে।
সবশেষ এ ঘটনায় হারাগাছ থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।