চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন এক প্রার্থীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন।
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর গ্রামের তেঁতুলতলা এলাকায় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে সীমান্ত ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য ও প্রার্থী আব্দুল আলীম এবং ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসের সমর্থকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। ওই ঘটনায় প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসসহ দুইপক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা। তবে এদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রার্থী আব্দুল আলীমের পক্ষের আহতরা হলেন তারিখ মোল্লা, তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক, শওকত মণ্ডল, আব্দুল হালিম, নওশের মণ্ডল।
প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসের পক্ষের আহতরা হলেন সুমন, মো. তারিখ, মো. শান্ত, কাওছার চৌধুরি, কাওছার আলী ও তার ভাই নওশেদ আলী।
প্রার্থী আব্দুল আলীমের অভিযোগ, ‘রাতে ভোট চাওয়ার জন্য আমার কর্মীরা মেদিনীপুর গ্রামের তেতুলতলা এলাকায় গেলে প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাসের কর্মীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা আমার পাঁচজন কর্মীকে বাঁশ ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। এই ঘটনায় আমি জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রার্থী ইসরাইল বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আব্দুল আলীমের সমর্থকরা আমাকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিল আর সালান বলেন, ‘সোমবার রাত ১টার দিকে তারিখ নামে একজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। তার হাতের একটি আঙুল ভেঙে হাত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরবর্তীতে নিজেরা বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছেন ওই দুই প্রার্থী।