কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে শিয়ালের আক্রমণে তিন শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে আহত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফায়েত খান বাপ্পী। এর আগে উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের কয়রত গ্রামে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন কুলসুম আক্তার, রুমা আক্তার, দীপামনি, আল-আমিন ও মোনতাজ মিয়া। তাদের মধ্যে কুলসুম ও রুমা কয়রত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর দীপামনি পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। আল-আমিন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও মোনতাজ মিয়া কৃষক। তারা সবাই গুনধর ইউনিয়নের কয়রত গ্রামের বাসিন্দা।
আহত কুলসুমের বাবা বিল্লাল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সন্ধ্যার পর বাড়ির উঠানে খেলছিল কুলসুম। এ সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে তার কোমরে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায় শিয়ালটি। পরে কুলসুমের চিৎকারে রুমা এগিয়ে এলে তার পায়ে কামড় দেয় আরেকটি শিয়াল।
কয়রত গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, কৃষক মোনতাজ ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে এসে তাকেও কোমরে কামড় দেয় একটি শিয়াল।
তিনি আরও জানান, মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় শিয়াল আল-আমিনের পায়ে কামড় দেয়।
কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফায়েত খান বাপ্পী জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ি ফিরে গেছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
শিয়ালের হামলার ভয়ে এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। এরপর থেকে সুরক্ষার জন্য সঙ্গে লাঠি রাখছেন গ্রামবাসী।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, শিয়াল হিংস্র প্রাণী। এদের বিরক্ত করলে আরও হিংস্র হয়। তা ছাড়া অনেক সময় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে এই প্রাণীর হিংস্রতা আরও বেড়ে যায়। আর জলাতঙ্কে আক্রান্ত শিয়ালের কামড়ে ভ্যাকসিন না নিলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘দিন দিন বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ায় খাদ্যের অভাবে এই প্রাণীটি লোকালয়ে চলে আসছে।’