বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রহ্মপুত্রে সেতু: ২২০০ কোটি টাকা দেবে এআইআইবি

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ০২:০৫

সেতুটি দেখতে হবে ধনুকের মতো। নদীর মধ্যে কোনো পিলার থাকবে না। গত ২৪ আগস্ট প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদে নতুন নান্দনিক সেতু নির্মাণ করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারের সেতুর মতো দেখতে এই সেতুতে নদীর মধ্যে থাকবে না কোনো পিলার। সেতুটি নির্মাণে বাংলাদেশকে ২৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে চীনের নেতৃত্বাধীন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

সোমবার ব্যাংকটির সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এআইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইনভেস্টমেন্ট অপারেশন অঞ্চল-১) ডিজে পান্ডিয়ান ভার্চুয়ালি ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইআরডি বলছে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নাই। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বিদ্যমান শম্ভুগঞ্জ সেতুটি একটি বড় অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ রক্ষা করছে। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এই সেতু অতিক্রম করে। ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত তিনটি বড় স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবছর ভারত থেকে আমদানীকৃত পাথর ও কয়লা এ সেতুর মাধ্যমেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করা হয়।

কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে এ সেতুটি অপ্রতুল হওয়ায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য ‘ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

সেতু্টি নির্মিত হলে তা বিদ্যমান সেতুর ওপর যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ কমাবে এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলা এবং সে অঞ্চলের স্থলবন্দর, ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করবে। ওই এলাকায় নতুন নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। জুন ২০২৫ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ শেষ হবে।

প্রকল্পের আওতায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩২০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টিল আর্চ ব্রিজ নির্মাণ, ৭৮০ মিটার এপ্রোচ ব্রিজ নির্মাণ, ৫৫১ মিটার সড়ক ওভারপাস এবং ২৪০ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস, সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনের ৬.২০ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে।

এপ্রোচ ও মূল সেতু মিলে ১ হাজার ১০০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু হবে দেশের প্রথম স্টিল আর্চ সেতু। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

সেতুটি দেখতে হবে ধনুকের মতো। নদীর মধ্যে কোনো পিলার থাকবে না। গত ২৪ আগস্ট প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নদের ওপর সাধারণ গার্ডার সেতু করতে গেলে এখানে চার থেকে পাঁচটি পিলার দিতে হতো। এতে নেভিগেশন প্রবলেম হতো। নৌযান ঠিকমতো চলতে পারত না। কিন্তু এ সেতুতে পিলার দেয়া লাগবে না। নদীর প্রবাহ ঠিক থাকবে।

মূল সেতুটি স্টিল আর্চ হলেও নদীর দুই পাড়ে সাধারণ সেতুর মতোই হবে।

দেশে নতুন প্রযুক্তির এ স্টিল আর্চ (ধনুক) ব্রিজ নির্মাণ তদারকির জন্য দেশি-বিদেশি পরামর্শকরা কাজ করবেন।

এআইআইবির এ ঋণ ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সাড়ে ৩৩ বছরে শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। ঋণের ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি হিসেবে দিতে হবে দশমিক ২৫ শতাংশ। অব্যয়ীত অর্থের ওপর কমিটমেন্ট ফিও দিতে হবে দশমিক ২৫ শতাংশ। ঋণের সুদের হার হবে লাইবর রেটের সঙ্গে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর