বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষতিপূরণ বাদে মুনতাসির মামুনের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ২২:৫৮

মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের লেখক মো. আবুবকর সিদ্দিকীর ‘মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর: একটি সমীক্ষা’ শিরোনামের প্রবন্ধে শান্তি কমিটির সদস্যদের নামের তালিকায় ৩৬ নম্বরে মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবা মৃত মোসলেম বাওয়ালীর নাম উল্লেখ করেন।

লেখক মুনতাসির মামুনের সম্পাদিত একটি বইয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবাকে শান্তি কমিটির সদস্য উল্লেখ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা মামলাটি চলমান থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলা থেকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়ার অংশটুকু বাদ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

সোমবার এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়।

আদালতে মুনতাসীর মামুনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক। অন্যদিকে মুন্নজানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী নুরুল আমিন ও এনামুল হক মোল্লা।

ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেখক মুনতাসির মামুনসহ আরও তিন জনের বিরুদ্ধে মুন্নুজান সুফিয়ান ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মানহানির মামলা করেছিলেন। তখন নিম্ন আদালতে মামলাটি খারিজ করতে একটি আবেদন করি। ওই আদালত মামলাটি খারিজ করেনি। পরে আমরা হাইকোর্টে আসি। হাইকোর্ট শুনানি শেষে মামলা থেকে ৫০ কোটি টাকার মানহানির অংশটুকু খারিজ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার (মুন্নুজান) বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন কি-না এ সংক্রান্ত মামলাটি চলবে।’

মামলা থেকে জানা যায়, মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের লেখক মো. আবুবকর সিদ্দিকীর ‘মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর: একটি সমীক্ষা’ শিরোনামের প্রবন্ধে শান্তি কমিটির সদস্যদের নামের তালিকায় ৩৬ নম্বরে মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবা মৃত মোসলেম বাওয়ালীর নাম উল্লেখ করেন।

পরে ২০১৮ সালের ১ জুলাই বইটির সম্পাদক মুনতাসীর মামুনের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠান মন্নুজান সুফিয়ান। মুনতাসীর মামুন সেই নোটিশের জবাব দেন। এরপর একই বছরের ১৯ জুলাই আবারও মুনতাসীর মামুনকে আইনি নোটিশ পাঠান মন্নুজান।

দ্বিতীয় নোটিশে বইয়ে প্রকাশিত তথ্যের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয় এবং লেখক আবুবকর সিদ্দিকীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু মুনতাসীর মামুন এ বিষয়ে রাজি হননি।

পরে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে মুনতাসীর মামুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলাটি করেন প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই তামাদি আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে মামলাটি বাতিল চেয়ে জজ আদালতে আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন। কিন্তু ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি মুনতাসীর মামুনের সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

পরে ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন।

সেই রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩১ আগস্ট মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল সহ এ আদেশ দেয়।

একইসঙ্গে তামাদি সাপেক্ষে বিচারিক আদালতে দায়ের হওয়া মামলাটি বাতিল চেয়ে মুনতাসীর মামুনের আবেদন খারিজ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন আদালত। ওই রুলের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষতিপূরণের অংশ বাদ দিয়ে মামলা চলমান রাখার নির্দেশ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর