বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএটিবিসির কাছে ২৪৩৭ কোটি টাকা দাবি এনবিআরের

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ২২:২৫

এনবিআর বলছে, ২০১৭ সালের বিশেষ আদেশ অনুযায়ী সিগারেটের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ হারে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। এই আদেশটি ২০১৮ সালে বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু এর আগে সিগারেটের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আদায়যোগ্য।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড বা বিএটিবিসির কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। অঙ্কটি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

এই দাবি পরিশোধ করতে হলে কোম্পানিটির রিজার্ভের ৭৫ শতাংশই নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি শেয়ারের প্রতিটির বিপরীতে টাকা পরিশোধ করতে হবে ৩৯ টাকা ৫৭ পয়সা করে, যা চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত আয়ের প্রায় দ্বিগুণ।

কোম্পানিটির রিজার্ভে আছে ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে এনবিআর দাবি করেছে ২ হাজার ৪৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার কোম্পানির পক্ষ থেকে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া এক বার্তায় এই কথা জানানো হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের মত তুলে ধরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে জানানে হয়, কোম্পানিটির ‘পাইলট ও ব্রিস্টল ব্র্যান্ডের’ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের বিপরীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১ হাজার ৭৮০ কোটি ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিল। এই দাবির বিপক্ষে উচ্চ আদালতে যায় কোম্পানিটি। রায় তাদের পক্ষেই আসে।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি রায়ের বিরুদ্ধে সরকার রিভিউ আবেদন করে। সেটি এখন শুনানির অপেক্ষা আছে।

এবার এনবিআর হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের হিসেবে আগের চেয়ে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বেশি দাবি করেছে। এনবিআর বলছে, ২০১৭ সালের বিশেষ আদেশ অনুযায়ী সিগারেটের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ হারে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। এই আদেশটি ২০১৮ সালে বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু এর আগে সিগারেটের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আদায়যোগ্য।

বিএটিবিসি বলছে, এই আদেশের বিরুদ্ধেও আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। এরপর আদালত বিষয়টির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিএটিবিসি কোম্পানি সচিব আজিজুর রহমান কিছু বলেননি। মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি দেখছি না। ফলে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এই বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করার বিষয়টি সামনে আসার আগেই কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য গত সপ্তাহ থেকে কমে আসছে। অবশ্য এর আগের এই মাস শেয়ার মূল্য টানা বেড়েছে।

গত ২২ আগস্ট শেয়ারমূল্য ছিল ৫৬২ টাকা। এরপর টানা বাড়তে বাড়তে গত ১৭ অক্টোবর ৭৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যায়। এরপর থেকে টানা দাম কমছে।

এর মধ্যে গত মঙ্গলবার কোম্পানিটি তার তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১৬ টাকা ১৫ পয়সা (২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর)। একই দিন কোম্পানিটি অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার প্রতি সাড়ে ১২ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা করে।

এর পরেও কোম্পানিটির দরপতন নিয়ে নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন জেগেছে। ১০ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৯৭ টাকা ৩০ পয়সা।

এর মধ্যেই এই তথ্যটি প্রকাশ করা হলো।

এ বিভাগের আরো খবর