মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তালিকা ছাড়া মালামাল জব্দের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। জব্দ করা মালামাল ও তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার একটি রিটের সূত্রে রুলসহ এ আদেশ দেয়।
মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কদমতলীর কে এস মেটালকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা ও জব্দতালিকা ছাড়া মালামাল নিয়ে যাওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ জরিমানার ১৫ লাখ টাকা ও মালামাল ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, গত ৬ মার্চ রাজধানীর কদমতলীতে কবির আহমদের মালিকানায় থাকা কে এস মেটাল নামের প্রতিষ্ঠানে গত ৬ মার্চ অভিযান চালান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। মোবাইল কোর্ট প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে। এ সময় জব্দতালিকা ছাড়াই ১৫ টন তামা ও ২ টন পিতল নিয়ে যাওয়া হয়, যার মূল্যমান ১ কোটি টাকা। যেটা আইনবহির্ভূত।
এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন কে এস মেটালের মালিক কবির আহমেদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, পুলিশপ্রধান, র্যাবের মহাপরিচালক, ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও কদমতলী থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়।
রিটের শুনানি নিয়ে আদালত সোমবার আদেশ দেয়। সেই আদেশে আগামী সাত দিনের মধ্যে জব্দতালিকা ছাড়া নিয়ে যাওয়া মালামাল ও তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।