বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যা-ধর্ষণ ছাড়া দস্যুদের অন্য মামলা প্রত্যাহার হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:১৯

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তারা বিভিন্ন মামলার কারণে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাদের যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তার অধিকাংশ টাকাই নাকি উকিলদের দিতে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা বাদে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের অন্য মামলা প্রত্যাহার করা হবে।’

হত্যা ও ধর্ষণ মামলা বাদে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের অন্য মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা চত্বরে সুন্দরবন দস্যুমুক্তির তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সুন্দরবনে কাউকে আর দস্যুবৃত্তি করতে দেয়া হবে না। নতুন করে কেউ দস্যুবৃত্তিতে নামলেও শেষ রক্ষা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনে নতুন করে কাউকে দস্যুবৃত্তি করতে দেয়া হবে না। কেউ নতুন করে দস্যুবৃত্তি করতে যাবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপকূলীয় এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন। নতুন করে কেউ দস্যুবৃত্তিতে নামলে শেষ রক্ষা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তারা বিভিন্ন মামলার কারণে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তাদের যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তার অধিকাংশ টাকাই নাকি উকিলদের দিতে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা বাদে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের অন্য মামলা প্রত্যাহার করা হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকু, শেখ সালাউদ্দিন, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

পরে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ৩২৬ জনকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়।

র‌্যাব সূত্র জানায়, দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ব্যক্তিদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশে ৩২৬ জনের মধ্যে ১০২টি বসতঘর, ৯০টি দোকানঘর, জালসহ ১২টি নৌকা, ৮টি ট্রলার ও ১১৪টি গবাদিপশু উপহার দেয়া হয়।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয় । ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন ৩২ জলদস্যু-বনদস্যু বাহিনীর ৩২৮ সদস্য। এ সময় তারা র‌্যাবের হাতে তুলে দেন ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ হাজর ৫০৪ রাউন্ড গুলি।

এ বিভাগের আরো খবর