ই-কমার্স ব্যবসায় পেমেন্ট করে অর্ডার দেয়ার পরও পণ্য না দিয়ে গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত (রিফান্ড) কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাবরিনা জেরিন ও এম. আব্দুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী সাবরিনা জেরিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ই-কমার্স ব্যবসায় যারা অনলাইনে অর্ডার করেছেন, অনেক টাকা লগ্নি করেছেন। যাদের টাকা একটি গেটওয়েতে আটকে আছে। পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায় তারা টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই টাকা ফেরত পায়নি গ্রাহকেরা। ওই টাকা ফেরত চেয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।’
রুলে বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানিদের কাছে গ্রাহকদের আটকে থাকা অর্থ ফেরতের জন্য নির্দেশনা দিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা/নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিওটিও এর পরিচালক, বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল ওয়্যারলেস, ফোস্টার পে এবং সূর্য পে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত চেয়ে বেসরকারি সংগঠন কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) গত ২১ অক্টোবর রিট করে। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত আজকে এ আদেশ দেয়।