ঝিনাইদহ থেকে চুরি হওয়া ১৫টি গরু খুলনার ডুমুরিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তজেলা গরু চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার কালীগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য জানান ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার।
আটকরা হলেন বাগেরহাটের উজ্জ্বল কাজী, সুজন খান, আল আমিন কাজী, শেখ ওহাব, খুলনার জিয়া শেখ, সেকেন্দার আলী ফকির ও রুবেল গাজী।
খুলনায় পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া গরু
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের ফিরোজা বেগম সেনুর ৯টি গরুর মধ্যে ৭টি গরু ১২ অক্টোবর রাতে চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। এর আগে ১৯ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ গ্রামের জালাল গাজীর ৬টি গরু চুরি হয়।
এ দুটি ঘটনায় গরুর মালিকেরা সদর ও কালীগঞ্জ থানায় আলাদা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোর শনাক্ত করে।
খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে রোববার অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী খুলনার সাজিয়াড়া ও ফলসি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫টি গরু।
আবুল বাশার আরও জানান, এই চক্রটি ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু চুরি করছিল। তাদের দলনেতা উজ্জ্বল কাজী ও জিয়া শেখের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া গরুগুলো আদালতের মাধ্যমে মালিকদের কাছে ফেরত দেয়া হবে।’