বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আকিবের জন্য পাগলপ্রায় বাবা-মা

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:২৪

আকিবের মা নার্গিস আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেটা গত সপ্তাহে হলে ওঠে। আমাকে বলেছিল, তার এখন হলে যেতে ভালো লাগছে না। আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে ছেলেকে বলি, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। আমার ছেলেটাকে তারা এভাবে মারল! আল্লাহ যেন আমার ছেলেটার জীবন ভিক্ষা দেয়।’ 

লাইফ সাপোর্টে থাকা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মাহাদী আকিবের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আকিবের জন্য পাগলপ্রায় তার বাবা-মা।

আকিবদের বাড়ি কুমিল্লা শহরের বাদুড়তলা এলাকায়। তার মা নার্গিস আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেটা গত সপ্তাহে হলে ওঠে। আমাকে বলেছিল, তার এখন হলে যেতে ভালো লাগছে না। আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে ছেলেকে বলি, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। আমার ছেলেটাকে তারা এভাবে মারল! আল্লাহ যেন আমার ছেলেটার জীবন ভিক্ষা দেয়।’

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে শনিবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন তিন শিক্ষার্থী মাহাদী আকিব, মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম।

আহত তিন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় আকিবের মাথায়। চিকিৎসকরা জানান, মাথার হাড় ভেঙে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার। পরে আকিবকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তার মাথায় ব্যান্ডেজ করা একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।

আকিবের বাবা গোলাম ফারুক মজুমদার কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষক। তিনি জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে আকিব ছোট। ২০১৭ সালে জিলা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সে পড়াশোনা করে নটর ডেম কলেজে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর পরীক্ষা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজে। পরে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে সে ভর্তি হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে।

তিনি বলেন, ‘হলের বাইরে থেকে মেডিক্যালে পড়ানো ব্যয়সাপেক্ষ। আমি একজন শিক্ষক। তাই কিছুটা বাধ্য হয়ে আকিবকে হলে রাখি।’

আকিব ছাত্র রাজনীতি করত কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সে রাজনীতি করত কি না জানি না। তবুও আজ রাজনীতির কারণে আমার ছেলেটা মৃত্যুশয্যায়। আকিবের জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’

কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষিক রাশেদা আক্তার বলেন, ‘আকিব আমার ছাত্র। আবার আমার সহকর্মী ফারক সাহেবের সন্তান। আমার দেখা নম্র-ভদ্র ও মেধাবী ছাত্র আকিব। তার এ ঘটনা শোনার পর থেকে আমাদের মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর