বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বনদস্যু কাদের মাস্টার এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ১২:২৬

কাদের মাস্টার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা ও র‍্যাবের সহযোগিতায় আজ আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। তবে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও অনেকেই মামলার কারণে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারছে না। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে যেন আমাদের সবার মামলা প্রত্যাহার করা হয়।’

একসময় সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালিদের কাছে আতঙ্কের নাম ছিল বনদস্যু মাস্টার বাহিনী। মাস্টার বাহিনীর হাতে মুক্তিপণের দাবিতে জেলেদের অপহরণ ও মাছ লুট ছিল প্রতিদিনের ঘটনা।

সেই মাস্টার বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার এখন আর কারো মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেন না। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন। পরিবার নিয়ে ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন।

বাগেরহাটের মোংলার চাদপাই ইউনিয়নের চাদপাই মোড়ে কাদের দোকান ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ বিক্রি ও সার্ভিসিং করেন। বিভিন্ন সময় র‍্যাবের দেয়া আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তিনি এই দোকান দিয়েছেন।

র‍্যাব জানায়, ২০১৬ সালের ৩১ মে মাস্টার বাহিনীর মাধ্যমে সুন্দরবনের বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ শুরু হয়। মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে ৫২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার গোলাবারুদ জমা দিয়ে কাদের মাস্টারসহ তার বাহিনীর ৯ জন আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে ৩২ বাহিনীর প্রধানসহ ৩২৮ জন বনদস্যু র‍্যাবের কাছে ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪টি গুলি জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন।

দস্যুমুক্ত ঘোষণার তৃতীয় বার্ষিকীতে ৩২৬ জন বনদস্যুকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এই অনুষ্ঠানে র‍্যাবের পক্ষ থেকে কাদের মাস্টারকে একটি স্থায়ী দোকান ঘর দেয়া হবে।

নিউজবাংলাকে কাদের মাস্টার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা ও র‍্যাবের সহযোগিতায় আজ আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। তবে আমার নামে মোংলা, শরণখোলা ও দাকোপ থানায় পাঁচটি মামলা আছে। কোনো মামলায় জামিনে আছি, কোনোটায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। এ কারণে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

‘এমন অবস্থা শুধু আমার নয়; দস্যুতা ছেড়ে আমার মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও অনেকেই মামলার কারণে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারছে না। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে যেন আমাদের সবার মামলা প্রত্যাহার করা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর