ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় কর্মী নিহতের অভিযোগ করেছেন যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মজিদ। তবে পরে তিনি অভিযোগ প্রত্যাহারও করেছেন।
তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজুর দাবি, নিজেদের দ্বন্দ্বেই ওই যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত ১৬ বছর বয়সী মো. শিহানের বাড়ি ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিপুর গ্রামে। তিনি আব্দুল মজিদের ফুপাতো ভাই।
প্রথমে মজিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ঘটনা ঘটেছে আমার বাড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরে। মিজু চেয়ারম্যানের ভাইসহ কয়েকজন মিলে রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিহানকে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার ভোরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
তবে সোমবার সকালে থানা থেকে বেরিয়ে নিউজবাংলার প্রতিনিধিকে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করেন মজিদ।
তিনি বলেন, ‘আমি কিছু দেখিনি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘কারো সঙ্গে তো আমাদের কিছু হয় নাই। রোববার আমাদের গ্রামের দুইটা ছেলেকে মারধর করে হাত-পা ভাইঙ্গা দিছে শুনলাম। পরে হাসপাতালে একটা মারা গেছে। আরেকজন আহত যে আছে সে নাকি তিনজনের নাম বলছে।
‘বেশি কিছু তো জানি না। তবে ওরা চুরিটুরি করত শুনছি। নিজেগো মইদ্দে মারামারি।’
ধামরাই থানার পরিদর্শক নির্মল কুমার দাস জানান, হাসপাতালে একজন মারা গেছে, আরেকজন চিকিৎসাধীন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে কী নিয়ে সহিংসতা তা এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।