বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের এখন স্কুলে ‘ভয় থাকবে না’

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ১১:২৫

রাজধানীতে সবার আগে টিকা নেয়ার অনুভূতি জানিয়ে তাহসান হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভয়টা আমার মধ্যে ছিল, এখন আর থাকবে না। আমি সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সবাইকে আহ্বান জানাই, তারা যেন টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।’

শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম। রাজধানীতে স্কুলশিক্ষার্থীদের মাঝে গণটিকার কার্যক্রমের উদ্বোধনীর দিন সবার আগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শেণির শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন।

টিকা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাহসান জানালেন, তার করোনা ভয় কেটে গেছে। সহপাঠীদের প্রতি তার আহ্বান তারাও যেন টিকা নেয়।

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, শিক্ষাসচিব মাহবুবুর রহমানসহ আরও অনেকে।

রাজধানীতে স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে সবার আগে টিকা নেয়ার অনুভূতি জানিয়ে তাহসান হোসেন বলেন, ‘ভ্যাক্সিন কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছি। শুরুর দিকে একটু ভয় কাজ করছিল। তবে এখন সত্যিই খুব ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, আমিই প্রথম যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম টিকা নিয়েছি।

‘করোনাভাইরাসের ভয়টা আমার মধ্যে ছিল এখন আর থাকবে না। আমি সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সবাইকে আহ্বান জানাই তারা যেন টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।’

এ সময় অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাহসানের বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। আমি ৫০ বছর বয়সে কোভিড-১৯ টিকা দিয়েছি। আর আমার সন্তান মাত্র ১৫ বছর বয়সে টিকা নিয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’

টিকা কার্যক্রমে অংশ নিতে সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী এখনও স্কুলে আসতে ভয় পায় করোনার কারণে। আমি মনে করি, টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীরা আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে ভয় পাবে না।’

স্কুলশিক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় মানিকগঞ্জ জেলায়। সেখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা যাওয়ায় রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চালু করছে সরকার।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, প্রথম দিন শুধু মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকা দেয়া হলেও মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর ৮টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। পরে ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় এই টিকা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে।

যেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে

রাজধানীর ৮টি কেন্দ্রে মঙ্গলবার থেকে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হবে। কেন্দ্রগুলো হলো হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল ও স্কলাসটিকা স্কুল।

স্কুলশিক্ষার্থীদের এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জে ১২০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়।

সেই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে এক কোটির বেশি ছেলে-মেয়ে আছে, যাদের আমরা টিকা দেব। প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেব এবং পর্যায়ক্রমে বাকিদের টিকা দেয়া হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইজারের টিকা ভালো ও নিরাপদ। এই টিকা আমেরিকা, ইউরোপসহ অন্য দেশে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে এই টিকা আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিশুরা নিরাপদে থাকুক।

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীর ৭৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লাখ ১৫ হাজার। আর সারা দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকপর্যায়ে শিক্ষার্থী আছে ১ কোটি ২৫ লাখ ২ হাজার ১২৬ জন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না।

এ বিভাগের আরো খবর