চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মাহাদী আকিবের জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জ্ঞান ফেরার পর রোববার দুপুরে তাকে নিজের নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হলে উত্তর দিয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান রঞ্জন কুমার নাথ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আকিবের জ্ঞান ফিরেছে। লাইফ সাপোর্টও খুলে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এখনই তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।’
রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মেডিক্যাল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ইমন শিকদারের করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসক চোখ খুলতে বললে আকিব চোখ খুলে কথা বলার চেষ্টা করেন। নাম জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘আকিব’; বাড়ি জানান, ‘কুমিল্লা’।
ওই ভিডিওতে তাকে হাত-পা নাড়াচাড়া করতেও দেখা যায়।
চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
শনিবার সকালের সংঘর্ষে আহত হন মাহাদী আকিব, মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আকিব নওফেলের অনুসারী ও বাকি দুজন নাছির উদ্দীনের।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছাদেকুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের নামে ও ৬ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে শনিবার রাতে মামলা করেছেন নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান।
এর মধ্যে এনামুল হাসান সীমান্ত ও রক্তিম দে নামের এজাহারভুক্ত দুজন আসামিকে রাতেই হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।