কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের নামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার প্রতিবাদে সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পৌর পরিষদ।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রোববার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মোনাফের ভাই শাহজাহানের করা মামলায় পৌর মেয়র ছাড়া আরও সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের রাস্তায় নামেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। শহরের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী পয়েন্ট, বাজারঘাটাসহ বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ও মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পর্যটন নগরী।
কক্সবাজার শহরের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
এরপরই জরুরি সভা ডাকে পৌর কর্তৃপক্ষ। সভায় কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র-২ হেলাল উদ্দিন কবির, প্যানেল মেয়র-৩ শাহেনা আক্তার পাখি ও কাউন্সিলর সালাউদ্দিন সেতু।
সভায় বক্তারা জানান, মেয়র মুজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, চলমান সড়ক উন্নয়ন কাজ, জাতীয়তা, জন্ম ও মৃত্যু সনদ দেয়াসহ পৌরসভার সব ধরনের নাগরিক সুবিধা বন্ধ থাকবে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে একটি মার্কেটের সামনে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত মোনাফকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।