মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে ফেরি দুর্ঘটনার পর বন্ধ রয়েছে সেটি। বাকি চারটি ঘাট ঠিক থাকলেও ফেরি চলছে মাত্র দুটি দিয়ে। এতে ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও পদ্মা পার হতে পারছেন না যাত্রী ও চালকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। প্রতিদিন এ নৌরুট দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়। এখোনে যান ও যাত্রী পারাপারে রয়েছে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বুধবার ৫ নম্বর ঘাটে আমানত শাহ ফেরিডুবির পর বন্ধ রয়েছে এটি। এখন শুধু ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বন্ধ রয়েছে ১ ও ২ নম্বর ঘাট।
যাত্রীবাহী রাবেয়া পরিবহনের চালক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টায় ঘাটে এসে আটকা পড়ি। তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরির দেখা পাই। ঘাটে গাড়ির চাপ কম থাকলে আধা ঘণ্টা মতো সময় লাগে ফেরিতে উঠতে।’
রাজবাড়ী পরিবহনের চালক আব্দুল কাদির বলেন, ‘একটা ডুবে যাওয়ার পর এখন ফেরি কম চলছে। যার জন্য ঘাটে আমাগো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ৫ নম্বর ঘাটটি ভালো থাকলে ঘাটে যানবাহনের চাপ কম থাকে।’
রাজবাড়ী সদরের যাত্রী ফরিদ মিয়া জানান, ফেরি ডুবে যাওয়ায় যেহেতু একটি ঘাট বন্ধ রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বাকি ঘাটগুলো দিয়ে ফেরি চলাচল করা উচিত ছিল। চারটি ঘাট ভালো থাকতেও এখানে র্দীঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহীউদ্দীন রাসেল জানান, পাটুরিয়ার পাঁচটি ঘাটের মধ্যে শুধুমাত্র ৫ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। বাকি চারটির মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ১ ও ২ নম্বর ঘাটটিও সচল রয়েছে। তবে ফেরির চ্যানেল ও যানবাহনের না যাওয়ার কারণে ১ ও ২ নম্বর ঘাটে ফেরি ভিড়ে না।
তিনি আরও জানান, পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ছয় শতাধিক ট্রাক, শতাধিক বাস ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়িকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসের চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাক পার করা হবে।