৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটনে মামলা করার পর পুরো টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো ইনকনট্রেড লিমিটেড।
ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় রোববার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয। তবে যে পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে, তার পুরো টাকা জমা দেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা নীরিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।
ইনকনট্রেড চট্টগ্রামের লালদিয়ার চর, পূর্ব পতেঙ্গায় অবস্থিত।
ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর তদন্ত করে ফাঁকি উদঘাটন করে।
মইনুল খান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এ জন্য মামলা করা হয়। এ ছাড়া সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পরও প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংরক্ষণ করেনি, যা ভ্যাট আইনের পরিপন্থি।’
তদন্তের মেয়াদে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উৎসে কর্তন খাতে কোনো ভ্যাট পরিশোধ করেনি। এর পরিমাণ ছিল ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৬ টাকা।
যথাসময়ে এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় ফাঁকির ওপর ২ শতাংশ হারে ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বাড়তি সুদ প্রযোজ্য।
ভ্যাট কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক অডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার ফাঁকি খুঁজে পায়। এই ফাঁকির ওপর ২ শতাংশ জরিমানা হিসেবে বাড়তি ভ্যাট আসে আরও ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। আর সুদ বাবদ ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা; সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।