বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারিকেল নিয়ে দ্বন্দ্বের বলি নারী

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৫২

বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ মিয়া বলেন, ‘আগে থেকেই তাদের মধ্যে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গাছ থেকে নারিকেল পড়লে ভাই বলে আমার। বোন বলে আমার ঘরের পাশে পড়ছে তাই এটা আমার। এই নিয়ে মারামারি শুরু হয়। মারামারির এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই রুবিনার মাথা ফাটিয়ে দেয়।’

আগে থেকেই ছিল সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ। সকালে গাছ থেকে নারিকেল পড়ে। চাচাতো ভাইয়ের দাবি এই নারিকেল তার। চাচাতো বোন বলেন নারিকেল তাদের। শুরু হয় মারামারি। এতে যুক্ত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরা। মারামারির এক পর্যায়ে গুরুতর আহত চাচাতো বোনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

৫০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম রুবিনা বেগম। যার সঙ্গে দ্বন্দ্ব সেই চাচাত ভাইয়ের নাম সোহেবুর রহমান। এ ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফারুক সোহেবুরের ভাতিঝা।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বড় বেরাইদ এলাকায়। এ ঘটনায় রুবিনার ভাতিঝা আরিফ নামে আরও একজন আহত হয়।

পুলিশ জানায়, ভিকটিমের টিনের ছাপড়া ঘরের পাশে পাকা বাথরুম। বাথরুমের পাশেই নারিকেল গাছ। ভিকটিমের বাসার পাশেই চাচাতো ভাই সোহেবুর রহমানের দোতলা বাড়ি। ভিকটিমের ঘরের পাশে নারিকেল গাছ হলেও ভোগদখল করে সোহেবুর। আজকে নারিকেল পড়লে সোহেব নারিকেল নিতে আসলে ভিকটিম বাধা দেন। এই নিয়েই মারামারি শুরু।

ঘটনা নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজনের ঘর থেকে বের হলে আরেকজনের ঘর দেখা যায়। রুবিনার পরিবার আর্থিক ভাবে দুর্বল। চাচাতো ভাই সোহেবুরের আর্থিক অবস্থা ভাল, শারীরিক শক্তিও বেশি। আগে থেকেই তাদের মধ্যে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। কারো কথা কেউ সহ্য করতে পারে না। গাছ থেকে নারিকেল পড়লে ভাই বলে আমার। বোন বলে আমার ঘরের পাশে পড়ছে তাই এটা আমার। এই নিয়ে মারামারি শুরু হয়। মারামারির এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই রুবিনার মাথা ফাটিয়ে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বাকি আসামিরা পলাতক। রুবিনার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয় নাই। তবে নিহতের পরিবার মামলা করবে।’

নিহতের ছেলে মুন্না বলেন, ‘আমাদের জমি জোর করে দখল করার সময় আমার মা বাঁধা দিলে সোহেবুর ও তার দুই ছেলে বাদশাহ, ফয়সালসহ আরও চার-পাঁচ জন মায়ের ওপর ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় আমার মাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাই। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর