ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এখন তার অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হচ্ছে না। তবে ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ এখনও অনেক দুর্বল। তিনি কথাও বলতে পারছেন না।
টানা ৮০ দিন সিএমএইচে চিকিৎসাধীন বেগম রওশন এরশাদ।
বিরোধীদলীয় নেতার ছেলে রাহ্গীর আল মাহি সাদ এরশাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বয়সের কারণে উনি অনেক বেশি দুর্বল। বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে এখন কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’
রওশনের খোঁজ নিতে রোববার সিএমএইচে যান এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামনুর রশিদ। এ সময় বিদিশা সিদ্দিক এবং এরশাদপুত্র শাহারা জারাব এরিকও উপস্থিত ছিলেন।
এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিউজবাংলাকে জানান, ‘মনে হলো ওনার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। উনি কথা বলতে পারেননি। তবে আমরা যখন কথা বলি তখন তিনি শুনছেন।’
রওশনকে বিদেশ নিয়ে যাওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা এখন ওনার নেই। তবে আমরা প্রস্তুত আছি।’
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ আগস্ট সিএমএইচে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা রওশন এরশাদের ফুসফুসে অস্বাভাবিক মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি দেখতে পান। তখন তার অক্সিজেন স্যাচুরেশনও কম ছিল। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে ফুসফুসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের স্বাভাবিক মাত্রা ৫০-৬০ থাকার কথা, সেখানে তার ছিল ২০০-এর বেশি।
তবে তার করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ আগস্ট তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আইসিইউ থেকে গত ২৫ আগস্ট তাকে সিএমএইচের অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। আবারও অবস্থার অবনতি হলে গত সপ্তাহে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।