বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্পত্তির জন্য ছেলের নির্যাতন, মায়ের মামলা

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ২১:০৩

মামলার অভিযোগে নাজেরা বেগম বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্য সন্তানরা আমার দেখভাল করলেও বড় ছেলে কোনো খোঁজখবর রাখেনি, ভরণপোষণও দেয়নি। বরং প্রতিদিন আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচারসহ জীবনের নিরাপত্তা চাই।’

সম্পত্তির জন্য ছেলে ও নাতির নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে নাজেরা বেগম নামের এক বৃদ্ধ আদালতে মামলা করেছেন।

রোববার বিকেলে মেহেরপুর বিচারিক হাকিম আদালতে তার বড় ছেলে শামসুল আলম পিন্টু ও নাতি (বড় ছেলের সন্তান) সালেহীন আলম অঙ্কুরের নামে মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে নাজেরা বেগম বলেন, ‘আমি বিধবা নারী। ২০ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে। আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র শামসুল আলম পিন্টু আমার নামের সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ৫ লাখ টাকা লোন নেয়। সেই লোনের টাকা পরিশোধ না করে সে তার পরিবার নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস শুরু করে। আমি বাধ্য হয়ে অন্য ছেলেদের সহযোগিতায় সুদসহ ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে সেই জমি রক্ষা করি।

‘গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার ছেলে ও নাতি একদল সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ওই সম্পত্তিতে তাদের অংশ লিখে দিতে চাপ দেয়। তখন আমি মেহেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তারা বাপ-বেটা কয়েক মাস চুপ থাকে। হঠাৎ গত শনিবার হাতুড়ি, শাবলসহ দেশি অস্ত্র হাতে ১০-১২ জনকে নিয়ে এসে আমার বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। তারা আমাকে হুইলচেয়ার থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়।

‘এ সময় আমি চিৎকার করে কান্না শুরু করি। পাশে আলাদাভাবে বসবাস করা আমার অন্য ছেলে শামসুল আলম রন্টু ও শামসুজ্জামান এসে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও আমার ছেলে-নাতিরা। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।’তিনি আরও বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্য সন্তানরা আমার দেখভাল করলেও বড় ছেলে কোনো খোঁজখবর রাখেনি, ভরণপোষণও দেয়নি। বরং প্রতিদিন আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচারসহ জীবনের নিরাপত্তা চাই।’

অভিযুক্ত শামসুল আলম পিন্টুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘টাকা আমি নিজে নিই নাই। তবে টাকা নিয়েছিল আমার ছেলে। তখন আমার মায়ের তাতে সম্মতি ছিল। আমি টাকা পরিশোধের জন্য মায়ের কাছে সময় চেয়েছিলাম। তিনি সেই সময় দেননি। তিনি তা পরিশোধ করে দিয়েছেন।’

নাজেরা বেগমের মামলার আইনজীবী নুরুজ্জামান জামান বলেন, ‘বৃদ্ধা তার বড় ছেলে শামসুল আলম পিন্টুর বিরুদ্ধে বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছেন। তার নিজের ও সম্পত্তির নিরাপত্তা চেয়ে আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর