কক্সবাজারের পেকুয়ায় পূজামণ্ডপ ও হিন্দু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ঘটনার মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পাওয়া চার আসামিকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়।
যে চার আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে তারা হলেন- কক্সবাজার পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদীদ, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য সাজ্জাদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ।
হাইকোর্ট এ চার আসামিকে ২৮ অক্টোবর আগাম জামিন দিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘একটি মামলায় ৪ জনকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে জামিন দেয় হাইকোর্ট। তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন জানিয়ে জামিন চেয়ে আবেদন করলে হাইকোর্ট তাদের জামিন দেয়। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি দেখি। তাতে দেখা যায় আসামিরা মামলার এফআইআরভুক্ত আসামি।
‘যেহেতু বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ঘটনা। এটা সরকার খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আপিল করি। আবেদনের শুনানি নিয়ে সাত দিনের মধ্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে চেম্বার আদালত।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর কক্সবাজারের পেকুয়ায় পূজামণ্ডপ ও হিন্দু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর থানায় মামলা হয়। হাইকোর্ট থেকে সে মামলার ৪ আসামি আগাম জামিন নিয়েছেন।