বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমরা কি মিলাদও করতে পারব না: বিএনপি

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৫৬

রাজধানীতে একটি মিলাদ থেকে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ করে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘এই গ্রেপ্তার কেন? আমাদের কি গণতান্ত্রিক অধিকার নেই? আমরা কি মিলাদ করতে পারব না? এটা কি নিষিদ্ধ? ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণে কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না।’

রাজধানীতে একটি মিলাদ মাহফিলে যাওয়ার পর পুলিশের সদস্যরা ঘিরে রেখে নেতা-কর্মীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। প্রশ্ন রেখেছেন, তারা মিলাদে যেতে পারবেন কি না।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে মিলাদের ঘটনাটি তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

তিনি জানান, দুপুরের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব, তেজগাঁও মহানগরীর নেতাকর্মীরাসহ তারা শাহীনবাগে একটি মিলাদে অংশ নেন। মিলাদ শেষে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের অসুস্থ মাকে তারা দেখতে যান।

সে সময় সুমনের বাড়ির চারিদিকে শতাধিক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে অর্ধ শতাধিক পুলিশ অবস্থান নেয় বলে অভিযোগ করেন আমান। বলেন, ‘দরজা খুলে ঢুকে তারা নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে এবং গ্রেপ্তার করে।

‘আমরা প্রতিবাদ করি কেন করছেন? আমরা তো মিলাদে এসেছি। অসুস্থ মাকে দেখতে এসেছি। কিন্তু কোনো কথায় তারা মানবে না।’

তাদের ১৫ জনের মতো নেতা-কর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে অভিযোগ করে আমান বলেন, ‘এই গ্রেপ্তার কেন? আমাদের কি গণতান্ত্রিক অধিকার নেই? আমরা কি মিলাদ করতে পারব না? এটা কি নিষিদ্ধ? ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণে কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসরকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলছে। ২০১২ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর থেকে বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের পরিসরকে একেবারে সংকীর্ণ করে ফেলছে।

‘সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এখানে বিরাজনীতিকরণের একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নির্মূল করার একটা নীলনকশা তারা করেছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি চলছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

বলেন, ‘২৬ অক্টোবরে ভাটারায় বিএনপির কর্মিসভায় পুলিশের হামলা হয়, ২৩ অক্টোবর উত্তরখানে বিএনপির কর্মিসভা পণ্ড হয় পুলিশি বাধায়, ১২ সেপ্টেম্বর খিলক্ষেত থানার বিএনপির নেতার বাসায় ফরম বিতরণের সময় পুলিশ হামলা করে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।’

গণতন্ত্র দেয়ার তারা কে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ করে এই প্রশ্ন রাখেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন গণতন্ত্র তারা না দিলে আমরা নাকি সমালোচনা করতে পারতাম না। গণতন্ত্র দেয়ার তারা কে? অধিকার আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি। পরবর্তীতে গণতন্ত্রের জন্য আমরা আরও লড়াই করেছি।

‘আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চিরকাল ক্ষমতায় থাকার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা করেছে এবং সেটাকে পাকাপোক্ত করার জন্য বারবার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য, নির্মূল করার জন্য, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, হত্যা সবকিছু করছে। এটাকে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলা যাবেই না, এটা ভয়ংকরভাবে একটা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা।

‘হিটলার-মুসোলিনিরও ফ্যাসিস্ট তারা এভাবেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, ভোটের অধিকার হরণ করেছে।’

বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না- এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান যে রাজনৈতিক অবস্থা আছে, তাতে আমরা কোনোমতেই নির্বাচনে যাব না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দেশে বিরোধীদল শূন্য একটা অবস্থা তৈরি করতে চায়। তারা জানে যে, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দিলে তাদের ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবে না।’

গ্রেপ্তার ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার রাত ৯টায় শেরে-বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের তেজগাঁও থানার পুলিশ আটক করেছে। তাদেরকে নিয়ে আমাদের থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আধাঘণ্টার মধ্যে তারা এখানে এসে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা পৌঁছালে মামলার বিষয়ে জানা যাবে।'

এ বিভাগের আরো খবর