বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটে মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়ে

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ২০:০২

জীবন নাহারের অভিযোগ, মেয়ে বুলবুল আক্তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা না করে জামাইয়ের কথায় ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। আর মেয়ের দাবি, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এখন ভোটে দেখা যাবে কার জনপ্রিয়তা বেশি।

ভোটের মাঠে অনেক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বীকেই মোকাবিলা করতে হয় প্রার্থীকে। তবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বী যদি হয় নিজের মা বা মেয়ে, তাহলে বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে পড়ে।

পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নে দেখা গেছে এমন চিত্র। ওই ইউনিয়নে টানা দুবারের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জীবন নাহারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তারই মেয়ে বুলবুল আক্তার।

তবে জীবন নাহারের অভিযোগ, মেয়ে বুলবুল আক্তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা না করে জামাইয়ের কথায় ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। আর মেয়ের দাবি, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এখন ভোটে দেখা যাবে কার জনপ্রিয়তা বেশি।

একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও প্রচার বন্ধ করেননি মা-মেয়ের কেউই। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তারা। রোববার ওই ইউনিয়নে গিয়েও তাদের ভোট চাইতে দেয়া যায়।

উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, ১১ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে ভোট। তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মা-মেয়ে ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন৷ শতদল আদর্শ গ্রামের জীবন নাহার হেলিকপ্টার প্রতীকে এবং মেয়ে বুলবুল আক্তার বক প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

মা-মেয়ের এমন লড়াইয়ে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ভোটারদের মধ্যে।

তেঁতুলিয়ার আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা লাবলু হোসেন বলেন, ‘জীবন নাহার টানা দুবার মহিলা সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সবার কাছে অনেক প্রিয়৷ তবে এবার তার ওয়ার্ডে আপন মেয়ে বুলবুলকে ভোট করতে দেখতেছি।

‘এমন চিত্র দেখে আমাদের ভোটাদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আমরা কাকে ভোট দেব, এটা নিয়ে ভাবনায় পড়ছি৷ কেন এমনটা হলো কেউ বুঝতে পারছে না।’

দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলা উদ্দিন বলেন, ‘তারা মা-মেয়ে ভোট করছে। যেকোনো একজনকে ভোট দিতে হবে। এখন আমরা কাকে ভোট দেব আর কাকে ছাড়ব।

‘তারা যদি বিষয়টি এখনই সমঝোতা না করে, তাহলে সম্ভবত এই দুই মা-মেয়ের লড়াইয়ে তৃতীয় পক্ষ জয়ী হয়ে যেতে পারে।’

এ বিষয়ে জীবন নাহার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। এবারও অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আমার অবস্থান অনেক ভালো এবং তাদের চেয়ে জনপ্রিয়তায় আমি এগিয়ে আছি। যোগ্য হওয়ায় ভোটাররা আমার সঙ্গে আছে।

‘তবে আমার মেয়ে বুলবুল আক্তার কারও সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার না করে তার স্বামীর কথায় আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ভোট করছে। আমার মেয়ের যদি ভোট করার ইচ্ছে ছিল, তাহলে আমাকে বলতে পারত। আমি আমার জায়গা মেয়েকে ছেড়ে দিতাম।’

তবে বুলবুল আক্তার জানান, মা জীবন নাহার ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি ভোটের মাঠে নেমেছেন। কার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা তা ভোটের দিন দেখা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর