নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শান্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বসুরহাট পৌরসভা অডিটরিয়ামে রোববার দুপুরে কর্মী সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতারা এ সমাবেশে যোগ দেন।
শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন ও শহিদ উল্যাহ খান সোহেলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কাদের মির্জা।
সমাবেশে কাদের মির্জা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ ছিল শান্তির জনপদ। এখানে দুই মায়ের বুক খালি হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। অনেকে মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কাদের নির্দেশে এসব হয়েছে, তার তদন্ত করে সঠিক বিচার করতে হবে। শান্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মির্জা কাদের আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সব আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। দেশের উন্নয়ন আরও গতিশীল করতে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়ী করতে হবে। ওবায়দুল কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ নিজের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ‘সাতবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৯ মার্চ আমার পৌরসভাকে লক্ষ্য করে দুই হাজার রাউন্ড গুলি হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের কোনো অপরাধে আমি ও আমার নেতা-কর্মীরা জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আমি মাথা পেতে নেব।’ এ সময় জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার দাবি জানান কাদের মির্জা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সমাবেশে উপিস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জামাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজসহ অনেকে।