লভ্যাংশ সংক্রান্ত বৈঠকের দিন শেয়ারমূল্য বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। তবে যারা বাড়তি দামে শেয়ার কিনেছেন, তাদের হতাশ করেছে কোম্পানিটি।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদেরকে গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লোকসানি কোম্পানিটি।
২০১২ সালের পর টানা লোকসানের মধ্যে ২০১৯ সালে মুনাফায় ফিরে কোম্পানিটি ৩ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের পর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
তবে আগের বছরের তুলনায় এটি বেশ কম। ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৩ টাকা ৭২ পয়সা।
আবার মার্চ শেষে তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৯ পয়সা। শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা, যা চার প্রান্তিকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত ৩০ জুন এই সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই শেয়ার প্রতি ২৪ টাকা ৪৩ পয়সার সম্পদ ছিল সোনারগাঁওয়ের।
লোকসানি হলেও পুঁজিবাজারে এই কোম্পানিটির শেয়ারদরে প্রায়ই লাফ দেয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
তবে সাম্প্রতিক দর সংশোধনে এখন দাম ২০ টাকা ২০ পয়সা।
এর মধ্যে রোববার এক দিনেই দাম বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। বৃহস্পতিবার শেয়ারদর ছিল ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে এক দিনে সর্বোচ্চ যত টাকা বাড়া সম্ভব, ততটাই বাড়ে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করেছে আগামী ২৮ নভেম্বর। লভ্যাংশ চূড়ান্তের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।